ঢাকা: কক্সবাজার, সুন্দরবন, রাঙামাটি, বান্দরবান, সেন্টমার্টিন, সিলেট- ঘর ছেড়ে বেড়াতে যাওয়া মানেই এরকম কয়েকটি নামই প্রথমে মনে আসে। এসবের বাইরেও যে দেশে কত শত ভ্রমণ স্পট রয়েছে তা হয়তো জানা নেই অনেকেরই।
আবার এসব জায়গার খোঁজ পেলেও কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি খাবেন- এতোসব ঝক্কি-ঝামেলা মাথায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়ে ওঠে না।
তবে এসব ঝামেলার সমাধান নিয়ে এসেছে ‘অফরোড বাংলাদেশ’। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা বহু ভ্রমণ স্পটের সন্ধান দেবে ক্রাউডভিত্তিক প্ল্যাটফর্মটি।
এখানে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সব ভ্রমণ স্থানের তথ্য সংরক্ষিত করা হচ্ছে। অফরোড বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মটি তৈরির পাশাপাশি এখানে দেওয়া তথ্যের সত্যতা, মান নির্ণয় এবং সম্পাদনার মাধ্যমে নিশ্চিত করবে একটি উপস্থাপনযোগ্য বিশ্বস্ত তথ্য ভাণ্ডারের।
এখানে শুধুমাত্র ভ্রমণ স্থানগুলোর ঠিকানা বা ছবিই নয়, কেন এটি একটি ভ্রমণ স্থান, সে জায়গার ইতিহাস, ভ্রমণপিপাসুরা কিভাবে যাবেন, কি কি দেখবেন, কোথায় খাবেন বা কোথায় থাকবেন- এ ধরনের সব তথ্যই এখানে আছে। এর সঙ্গে থাকছে স্থানীয় সংস্কৃতির খোঁজ, বিভিন্ন মেলা ও উৎসবের খবর।
যে কেউ এখান থেকে অতি সহজেই তার গন্তব্যস্থলটি খুঁজে নিতে পারবেন। জেনে নিতে পারবেন কবে, কিভাবে গেলে সবচেয়ে ভালো হয়, কতোই বা খরচ হতে পারে। পুরো ভ্রমণের পরিকল্পনা অতি সহজেই ঘরে বসেই সেরে ফেলতে পারবেন সবাই। এমনকি কেউ যদি নাও জানেন যে তিনি আসলে কোথায় যেতে চাইছেন তার জন্যও রয়েছে ইন্টারনেট গ্রুপ ধরে (ঐতিহাসিক, পাহাড়, সমুদ্র, নদী) তার গন্তব্যস্থল খুঁজে পাওয়ার সহজ ব্যবস্থা।
অফরোড বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস মোত্তাকিন বাংলানিউজকে বলেন, যে কেউ এখানে যেকোনো ধরনের তথ্য (লেখা, ছবি, ভিডিও) পরিমার্জনা, পরিবর্ধন, সংকোচনের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ নতুন তথ্য যোগ করতে পারবেন। তবে তা একটি অনুমোদিত প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে প্রকাশিত হবে। তথ্য প্রদানকারীর কিংবা সংশোধনকারীর নাম অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা ১৭৯৩টি ভ্রমণ স্পট শনাক্ত করেছি। সবমিলিয়ে ১০ হাজার ভ্রমণ স্পটকে আমরা শনাক্ত করে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে চাই। বর্তমানে অফরোডে ১৭ জন সদস্য কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্র বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে যুক্ত হবেন আরো নতুন সদস্য।
এছাড়াও অফরোডে থাকছে ব্লগ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পর্যটন স্পটের রেটিংয়ের ব্যবস্থা, যেকোনো স্থানের কথা বন্ধুদের সঙ্গে বা অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে সহজেই শেয়ারের ব্যবস্থা।
তুলনামূলক ক্ষুদ্র ও অপরিচিত পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটন ভিত্তিক নতুন নতুন বিনিয়োগ, চাকরিক্ষেত্র তৈরিতেও সহায়ক হবে এ প্ল্যাটফর্ম। দেশের ভেতর ও বাইরে এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গড়ে উঠবে পর্যটনবান্ধব একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠা কমিউনিটির সদস্যরা খুব সহজে নিজেরাই নিজেদের জন্য সহায়ক হয়ে উঠবেন তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫