ঢাকা: এখন থেকে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি) থেকে খাবার নেবে শ্রীলংকার লো-কস্ট এয়ারলাইন্স মিহিন লংকা। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে এই খাবার নেওয়ার প্রক্রিয়ার শুরু হবে।
এর আগে সোমবার (১৬ মার্চ) বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার ঘুরে দেখেন মিহিন লংকার জেনারেল ম্যানেজার অরুনা রত্মানায়েকে, স্টেশন ম্যানেজার মিসবাহ আল আহমেদ মজুমদারসহ একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় বিমানের প্রোকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট বিভাগের পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, বিএফসিসি-এর জেনারেল ম্যানেজার খান মোশাররফ হোসেন, বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) আতিক সোবহান, বিএফসিসির চিফ শেফ মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
খান মোশাররফ হোসেন বিএফসিসি-এর বিভিন্ন কার্যক্রম ও খাবারের গুণগত মানসহ নানা বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিএফসিসি-এর খাবার হাইজেনিক ও সঠিক তাপমাত্রায় প্রস্তুত করা হয়। প্রতিদিন বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বিএফসিসি ৭/৮ হাজার মিল খাবার সরবরাহ করে থাকে। হজ মৌসুমে এই সংখ্যা ১২/১৩ হাজারে উন্নীত হয়।
মিহিন লংকার পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের যাত্রীরা অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশি খাবার চাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানার পরই বিএফসিসি-এর খাবারের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন তারা।
এ ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এখান থেকে খাবার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মিহিন লংকা।
ঢাকা-কলম্বো-মালে রুটে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করে শ্রীলংকার রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ‘শ্রীলংকান’ এর অঙ্গ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মিহিন লংকা।
শিগগিরই ফ্লাইট সংখ্যা সাতটিতে বাড়ানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। রিজিওনাল ফ্লাইট পরিচালনাকারী মিহিন লংকার বহরে বর্তমানে ৪টি এয়ারবাস উড়োজাহাজ রয়েছে।
মালয়েশিয়া ও ড্রাগন নিয়মিত বিএফসিসি থেকে খাবার নেয়। এর বাইরে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সগুলো তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিদিনই বিএফসিসি থেকে খাবার নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘন্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫