ঢাকা: পর্যটন বর্ষ ২০১৬-তে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক আনতে চায় বাংলাদেশ। এজন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
বুধবার(২৫ মার্চ’২০১৫) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চার বছরের অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চীন, জাপান ও কোরিয়ার মতোই পর্যটন সমৃদ্ধ দেশ হতে চায় বাংলাদেশ। এ খাতে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৬ সালকে আমরা পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ চলছে। আশা করছি আগামী বছর ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক আনতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। বাংলাদেশ এখন পর্যাপ্ত মাছ ও সবজি রপ্তানি করছে। কৃষি ও প্রাণি সম্পদে আমাদের অনেক অর্জন। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের পর্যটন খাত অনেক পিছিয়ে। অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত কক্সবাজার ও সুন্দরবনের মতো অনেক সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পট রয়েছে। এর বাইরে বান্দরবান, রাঙামাটি, কুয়াকাটা এমনকি উত্তর জেলাগুলোতে অনেক সুন্দর পর্যটন স্পট রয়েছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, দেশের মধ্যে পর্যটন বাড়লেও বিদেশিদের টানার মতো সবকিছু আমাদের নেই। আমি আশা করছি ট্যুরিজম বোর্ড, মন্ত্রণালয় ও এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি এ খাতকে এগিয়ে নিতে পারবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, পর্যটন নিয়ে বানানো বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হয়েছে। সংসদীয় কমিটি ট্যুরিজম বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে যাতে করে এখন প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ লাখ যে বিদেশি পর্যটক আসছে তা বাড়ানো যায়।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন(পিএটিএ) এর সিইও মারিও হার্ডি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের দিকে নজর দিবো। এক্ষেত্রে আমাদের যদি কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন হয় তা দেবো।
অনুষ্ঠানে ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আকতার উজ জামান খান কবির ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বোর্ডের চার বছরের অর্জন তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫