ঢাকা: রাজশাহীতে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমির প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে তামান্না রহমান (২২) নামে প্রশিক্ষণার্থী পাইলট নিহত হওয়ার পর ফ্লাইং একাডেমি রাজশাহীর সব ট্রেইনি পাইলটকে ঢাকায় ডেকে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনার পর সাময়িকভাবে সব প্লেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রশিক্ষণার্থী পাইলট তামান্না নিহত হওয়ার পর অন্যান্য পাইলটদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করেই ফ্লাইং কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে একাডেমির একটি সূত্র জানিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজশাহীতে অবস্থানরত সব প্রশিক্ষণার্থীদের ঢাকা অফিসে ডেকে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমির সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন শাহবুদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই ক্যাডেটরা মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত ও শোকাহত। তাদের মানসিক শক্তি যোগাতে ও সার্বিক বিষয়ে ব্রিফ করতেই ঢাকায় ডেকে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, একাডেমির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন মহিদুল ইসলাম ও ক্যাপ্টেন আহমেদ ফজলুল রহমান রাজশাহীর সব শিক্ষানবিশ পাইলটদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের পুনরায় কর্ম উদ্যোমী করতে মানসিকভাবে চাঙ্গা করবেন।
ফ্লাইং একাডেমির তত্ত্বীয় সব ক্লাস ঢাকায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিচালিত হয়। আর উড্ডয়ন (ব্যবহারিক) ক্লাসগুলো রাজশাহীতে হয়।
** প্রাথমিক তদন্ত শেষ, চূড়ান্ত প্রতিবেদন রোববার
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৫