ঢাকা: কেউ টিকিট কাটতে গেলে পান না। পরে দেখা যায়, উড়োজাহাজের আসন খালি পড়ে আছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাইল হেউড বুধবার (৮ এপ্রিল) বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
প্রধান নির্বাহী বলেন, অনেক সময় অনেক যাত্রী টিকেট বুকিং দিয়ে সিট ব্লক করে রাখেন। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করেন। এতে এয়ারলাইন্সের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি ‘জেনুইন প্যাসেঞ্জাররা’ টিকেট পান না। তাই আমরা নতুন বুকিং সিস্টেম চালু করবো।
প্রধান নির্বাহী কাইল হেউড বলেন, দুর্নীতি বিমানের জন্য বড় ইস্যু নয়। বিমানের উড়োজাহাজের গড় বয়স প্রায় ১১ বছর। আগামীতে এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের গড় বয়স ৮-এ নেমে আসবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, উড়োজাহাজের গড় বয়স বেশি হলে একটি এয়ারলাইন্সকে লাভজনক করা সম্ভব নয়।
‘একটি এয়ারলাইন্সের কিভাবে উন্নতি করতে হয় তা জানা আছে’ উল্লেখ করে কাইল বলেন, আমরা এরই মধ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ বছরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত আসবে। কিভাবে আয় বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিয়েছি। বিগত তিন মাসে কঠিনসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাত্রীদের কথা চিন্তা করে সাশ্রয়ী মূল্যে টিকিট ছেড়েছি। এ সময়কালে যাত্রী উপস্থিতি, ফ্লাইটসূচি ছিল সন্তোষজনক।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের পুরাতন রুট ঢাকা-রোম আগামী ১০ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিচ্ছি। কারণ এই রুটের প্রতি ফ্লাইটে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান হচ্ছিল। এয়ারলাইন্সের বহরে এ বছরের শেষে বোয়িং-৭৩৭ যুক্ত হলে আরো নতুন কিছু রুট খোলা হবে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া ও চীনে।
কাইল বলেন, এয়ারলাইন্সের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে বেশকিছু পরিবর্তন আনছি। নতুন যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আগামী জুলাই মাস থেকে এর দৃশ্যমান উন্নতি পরিলক্ষিত হবে। তবে এয়ারলাইন্সের কোনো বাজেট ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা নেই।
‘বিমান কার্গো ফ্লাইটেও উন্নতি করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতে আয় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। কার্গোতে উন্নতির ওপর আরো জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও সময়মতো ফ্লাইট ছাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কাইলের পছন্দ তিনটি উড়োজাহাজ। তবে দুটি উড়োজাহাজই যথেষ্ট মনে করেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ রুটের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য নতুন বৈমানিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান বিমানের প্রধান নির্বাহী।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন কাইল হেউড।
প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, কুয়ালালামপুর, কলকাতা রুটসমূহে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, রুট পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের প্রধান তিনটি শহর রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মামে বাড়তি ফ্লাইট যুক্ত হতে যাচ্ছে। বাড়ছে কুয়ালালামপুরের ফ্লাইট সংখ্যাও। ঢাকা-কলকাতা রুটে প্রতি সপ্তাহে ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৫
আইএইচ/ জেডএম /জেএম