কুয়েতের পথে: পুরোনো ‘সুনাম’ই ধরে রাখলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি বজায় রাখলো বিলম্বে যাত্রার ‘ধারাবাহিকতা’।
ফ্লাইট নম্বর বিজি ০৪৩। ওড়ার সময় বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা। উড়েছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর।
ফ্লাইটের টিকিটের নির্ধারিত সময় যখন পেরিয়ে যাচ্ছে, যাত্রীরা তখন বোর্ডিং লাউঞ্জে অপেক্ষায়। সিকিউরিটি স্ক্যানিং, চেকিং শেষে সবাই তখন অস্বস্তিতে।
বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজটির ৩১৯ আসনের বিপরীতে যাত্রী ৩০১ জন। অথচ ফ্লাইটটিতে আসন বরাদ্দ রেখেছিলেন ৩১৪ জন। যাদের পাঁচজনকেই আটকে দেওয়া হয় ইমিগ্রেশনে।
বিমানের স্টেশন ম্যানেজার আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ফ্লাইটে সময় মতো কার্গো না ওঠায় এই বিপত্তি।
কারা এর জন্য দায়ী তা অবশ্য খোলাসা করেননি তিনি।
সৌদি আরবের দাম্মামে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি করার কথা ফ্লাইটটির। সেখানে নামার কথা ১০৬ জনের।
বিমানের ডেপুটি স্টেশন ম্যানেজার শফিকুল আলম জানান, দাম্মাম থেকে কুয়েতে যাওয়ার সময়টাতেও স্বাভাবিক যাত্রা বিলম্ব হবে। তবে আমরা চেষ্টা করবো সেখানে বিলম্ব ‘সহনীয়’ রাখতে।
এই নিয়মিত বিলম্ব যে ফ্লাইট শিডিউল লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে এবং যাত্রী সেবার মান কমিয়ে আনছে, সেটা বুঝতে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ হতে হয় না- বাংলানিউজকে এই আক্ষেপ কুয়েতপ্রবাসী সোহরাব হোসেনের, যিনি ফ্লাইটটির যাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫/আপডেট ১৮১০ ঘণ্টা
জেডআর/এইচএ
** কুয়েত থেকে খবর জানাবেন জাহিদ