ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

ওড়ার অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ‘মেঘদূত’-‘ময়ূরপঙ্খী’

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
ওড়ার অপেক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ‘মেঘদূত’-‘ময়ূরপঙ্খী’

ঢাকা: এবার বাংলার হয়ে বিদেশ ঘুরবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মেঘদূত’ ও ‘ময়ূরপঙ্খী’। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যোগ হচ্ছে নতুন প্রজন্মের এ দুই উড়োজাহাজ।



সংযোজনের আগেই এগুলো ‘প্রধানমন্ত্রীর মেঘদূত-ময়ূরপঙ্খী’ বলে চাউর হচ্ছে, কারণ নামগুলো তারই দেওয়া। শখ করে দেশের নতুন অহঙ্কারগুলোর নাম রেখেছিলেন উচ্ছ্বসিত শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমানের বহরে নতুন দুই আকাশবাহনের সংযোজন অনুষ্ঠানটিতেও থাকবেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করবে ১৬২ আসনের নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৩৭-৮০০।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং-এর সঙ্গে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে বিমান কর্তৃপক্ষ।

সে হিসেবে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে আগেই। পাল্কী, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ ও রাঙ্গাপ্রভাত এখন বিমানের গর্ব।

চলতি বছরকে ‘পর্যটন বর্ষ’ বলে ঘোষণা করা হয়, তাই নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনে আনন্দিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমরা বিশ্বে পর্যটন খাতে আরও ভালো অবস্থানে যেতে চাই। মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নতুন উড়োজাহাজ সংযোজনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, জানালেন মন্ত্রী।

কর্মকর্তারা আরও জানান, ২০১৭ সালে বোয়িং ড্রিমলাইনার দুটি এবং ২০১৯ সালে আরও দুটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বিশ্বের সর্ববৃহৎ এয়ারবাস-৩৮০ সংগ্রহ করতে চায় বলেও সে সময় বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।

নতুন দুই অহঙ্কারের কথা প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন গত বছরের ৫ এপ্রিল। সেদিন একই নামে বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের দুটি উড়োজাহাজ উদ্বোধন করছিলেন তিনি।

সে উড়োজাহাজগুলো বিদেশি একটি বিমান সংস্থা থেকে ভাড়া নিয়েছিল বাংলাদেশ বিমান। ৭৬ আসনের ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজগুলো চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের ভেতরে ৭টি গন্তব্যের জন্য চালু হয়েছিল সেবার।

সে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “দেশের অভ্যন্তরে বা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে, উভয় ক্ষেত্রেই যাত্রীসেবা নিশ্চিত এবং আমাদের সুনাম রক্ষা করতে হবে।

বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ যাতে আরও সুন্দর ও আন্তর্জাতিক মানের হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাত্রীদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে”।

বাংলাদেশ সময় : ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
এসকেএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।