ঢাকা: লোকবল স্বল্পতা, ইকুইপমেন্ট স্বল্পতা ও প্রশিক্ষণ স্বল্পতা- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ তিনটি স্বল্পতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত বেবিচক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্তমানে তিন ধরনের স্বল্পতা রয়েছে। তবে এসব স্বল্পতা নিরসনে আমরা কাজ করছি। লোকবল স্বল্পতা নিরসনের জন্য ইতিমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। বিষয়টি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে।
লোকবল স্বল্পতা থাকলেও সাময়িকভাবে ২৫০ সদস্যবিশিষ্ট একটি সিকিউরিটি ফোর্স শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এ ফোর্স গঠন করা হয়েছে, জানান তিনি।
এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিটিশ ও আমেরিকান পরিদর্শনকারী দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমেরিকান দলটি এখনও পরিদর্শনে রয়েছে। শিগগিরই তারা আমাদের একটি রিপোর্ট দেবে। ৭ সদস্যের এ পরিদর্শন দলে ৪ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন আমেরিকান সদস্য রয়েছেন।
এম সানাউল হক বলেন, অতি শিগগিরই আমেরিকা ও ইউরোপ অঞ্চলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বেবিচক’র কাছে বাংলাদেশ বিমানের বকেয়া আছে ১৭০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিমান এটা ধীরে ধীরে পরিশোধ করছে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
ইউএম/আরএম