আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত উনবিংশ বার্ষিক গ্লোবাল এয়ারফিন্যান্স কনফারেন্সে মূল বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ইতিহাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
হোগ্যান বলেন, অংশীদারিত্ব কৌশলের ফলে ২০১৬ সালে কোডশেয়ার ও অংশীদারদের (এয়ারলাইন্স) ৫৫ লাখ অতিথি ইতিহাদ এয়ারওয়েজের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছেন। যার ফলে বেড়েছে রাজস্ব, বেড়েছে যৌথ মুনাফা।
কোডশেয়ার হলো দুই বা ততোধিক উড়োজাহাজ সংস্থার মধ্যে এমন চুক্তি, যার ফলে একই ফ্লাইটে উভয়ের অংশ থাকবে। উভয় প্রতিষ্ঠানই ওই ফ্লাইটের প্রচার ও টিকিট বিক্রি করতে পারবে। ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সঙ্গে এখন এমন অনেক প্রতিষ্ঠান অংশীদার ব্যবসায় জড়িত।
গ্রুপের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের বিনিয়োগ (অংশীদারিত্বের) রাজস্বে তাৎক্ষণিক প্রতিফল দেখিয়েছে। এতে আমাদের শত কোটি ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব এসেছে এবং অনওয়ার্ড কানেক্টিং ফ্লাইট পরিচালনা সহজ হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ইতিহাদ এভিয়েশন গ্রুপ বিশ্বের নামকরা এভিয়েশন এবং ট্র্যাভেল গ্রুপ। এর চারটি ভাগ হচ্ছে- ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, দ্য ন্যাশনাল এয়ারলাইন অব দ্য ইউনাইটেড আরব এমিরেট্স, ইতিহাদ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এয়ারলাইন ইকুইটি পার্টনার। গ্রুপটির সাতটি ক্ষুদ্র বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এয়ার বার্লিন, এয়ার সার্বিয়া, এয়ার সিসিলি, আলিতালিয়া, জেট এয়ারওয়েজ, ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া এবং ডারউইন এয়ারলাইন) ইতিহাদ রিজিওনাল এর অন্তর্ভুক্ত।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের বিচরণ মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা। ১২২টি এয়ারবাস এবং বোয়িং এয়ারক্রাফট নিয়ে পরিচালিত ইতিহাদের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ১১৭।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭
এইচএ/