বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স সুবিধা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের কোনো সুবিধা না থাকায় ঢাকা হয়ে কক্সবাজারে যেতে হয় বিদেশি পর্যটকদের।
চলতি সময় থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে ইন্টেরিয়ম প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে অর্থের সংস্থান করা হবে। উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে ধাপে ধাপে ব্যয় বৃদ্ধিরও চিন্তা রয়েছে সরকারের।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মহন্ত বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্রমেই বাড়ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের চাহিদা। সব সময় কক্সবাজারে থাকে বিদেশি পর্যটকের ঢল। কিন্তু পর্যটকরা ঢাকা হয়ে কক্সবাজারে আসেন। ফলে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। এসব বিবেচনা করেই আন্তর্জাতিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল করবো। ফলে পর্যটকদের আর ঢাকা হয়ে কক্সবাজারে আসতে হবে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে শুধু মাত্র ডমেস্টিক ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। বিদ্যমান টার্মিনালটি রেখে উন্নয়ন করাও সম্ভব নয়। তাই বিদ্যমান টার্মিনাল ভেঙেই নতুন করে নির্মাণ করবো। যেখানে থাকবে সকল ধরনের উন্নত মানের সুবিধা’।
‘বিমানবন্দরের সিকিউরিটিও ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এ লক্ষ্যে পরামর্শকদের চাহিদা অনুসারে উন্নতমানের স্ক্যানারও কেনা হবে। থাকবে উন্নত মানের ট্যাক্সিওয়ে, উড়োজাহাজ পার্কিংসহ ভিআইপিদের জন্য পার্কিং সুবিধা’।
প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল হাসিব বাংলানিউজকে জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আদলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি নির্মিত হবে। একই সময়ে ৫০০ যাত্রী দেশের বাইরে যেতে পারবেন এবং ৫০০ যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আসতে পারবেন। বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বড় উড়োজাহাজ অবতরণের সকল ধরনের অবকাঠামোও থাকবে নতুন এই প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে। অন্তবর্তীকালীন আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে রুপ নেবে কক্সবাজার বিমানবন্দর’।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর