তদন্ত কমিটি গঠনের এক মাস পার হয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আলাপ পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে না।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্যাতনের ওই ঘটনায় গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিমানের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে রেজা সাহেব (এস কে এম) মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে সিবিএ’র আব্দুল জলিল নামে এক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। তারপর আব্দুল জলিল, মাসুম বিল্লাহসহ সিবিএ’র আরও বেশ কয়েকজন নেতা রেজা সাহেবকে বেধড়ক মারধর করেন।
এ ঘটনায় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন এস কে এম রেজা। বিমানের এমডি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কোনো নাম নেই এখনও। সিবিএ সভাপতি মো. মশিকুর রহমান ফোন করে বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিধায়ই তদন্ত কমিটি চুপ হয়ে গেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির ওই কর্মকর্তা।
তিনি অভিযোগ করেন, কেবল এস কে এম রেজাই নন, সিবিএ’র নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে যেকোনো কর্মকর্তাকেই শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়। এর আগেও বিমানের একাধিক কর্মকর্তাকে পিটিয়েছেন সিবিএ নেতারা। সেসবের কোনো সুরাহা হয়নি শেষতক।
ওই কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিবিএ’র দৌরাত্ম্যে এখন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতি মুহূর্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন দায়িত্বরত বিমানের কর্মকর্তারা।
শাহজালালে দায়িত্বরত বিমানের আরেক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এখানে আমরা কিছু বলতে পারি না। যা বলার সিবিএ’র নেতারাই বলেন। আমরা কিছু বললেই নেতারা মারধর করেন। আর তাদের বিরুদ্ধে ওপরের স্যাররাও কোনো ব্যবস্থা নেন না। কিন্তু সিবিএ’কে তারা কেন এতো ভয় পান তাই বুঝি না।
এসব বিষয়ে সিবিএ সভাপতি মশিকুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাব্যবস্থাপক রেজার ওপর হামলার বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার শাকিল মেরাজ বাংলানিউজকে বলেন, বিমানের একজন কর্মকর্তার ওপর মাসুম বিল্লাহ, আবদুল জলিলসহ কয়েকজনের হামলার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব এর প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
ইউএম/এইচএ/