সোমবার (১ মে) দুপুর ২টায় কলকাতা থেকে ঢাকা ফেরা ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২০২ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সহায়তা করেন এয়ারলাইন্সটির দুই কর্মী। যার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
সততার নজির গড়া এয়ারলাইন্সটির দুই কর্মী হলেন- মো. আব্দুল কাদের ও মো. আলমাস হোসেন।
বুধবার (৩ মে) দুপুর ২টায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান তাদের সম্মাননা জানাবেন।
কাস্টমসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, ‘১ মে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দু’জন পরিচ্ছন্নকর্মী এয়ারক্রাফটের অভ্যন্তরে পাওয়া ৬০টি স্বর্ণবার স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রীয় হেফাজতে হস্তান্তরের বিরল ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদ্বয়কে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
এয়ারলইন্সের কর্মীদের সহায়তায় স্বর্ণ উদ্ধারের এমন ঘটনা বিরল। সেদিন স্বর্ণ উদ্ধারের সার্বিক কাজে অংশ নেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস ‘সি’ শিফটের ইনচার্জ সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন।
সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধারণত কোনো গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্স থেকে বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণ উদ্ধার করেছি কিংবা করি। তবে এয়ারলাইন্স কর্মীদের সহায়তায় এভাবে স্বর্ণ উদ্ধারের কথা আমার জানা নেই।
কলকাতা থেকে ফেরা প্লেনটির সিটের নিচে থাকা একটি ব্যাগ থেকে স্কচটেপে মোড়া ছয়টি বান্ডেল থেকে ৬০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার প্রতিটির ওজন ১১৬ গ্রাম। মোট ওজন ৬ কেজি ৯ম ৬০ গ্রাম। মূল্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা। জানান এ কর্মকর্তা।
জানা যায়, প্লেনটি অবতরণ করার পার্কিংয়ে ছিলো। পরে ইউএস-বাংলার দু‘জন পরিচ্ছন্নকর্মী প্লেনটি পরিষ্কার করতে গিয়ে সিটের নিচে ব্যাগটি পান। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা বিষয়টি প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতনদের জানান। কর্তৃপক্ষ তখন কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন এবং স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধারে সব ধরনের সহযোগিতা করেন।
এই সততার পুরস্কার পাচ্ছেন মো. আব্দুল কাদের ও মো. আলমাস হোসেন।
আরও পড়ুন: সততার অনন্য নজির ইউএস-বাংলার ২ কর্মীর
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
এএ