অথচ নিয়ম অনুসারে বিমান কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত খাবারের মেন্যু ও সেগুলোর মূল্য তালিকা টাঙানোর কথা স্টাফ ক্যান্টিনের মূল দরজার সামনেই।
স্টাফ ক্যান্টিনটিতে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে কারো প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও তা মানছেন না ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ।
এমনই নানা অনিয়মের মাধ্যমে ক্যান্টিনটিতে হরিলুট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন খোদ সংস্থাটির কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা।
তাদের অভিযোগ, সর্বশেষ টেন্ডার অনুসারে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬০ টাকা প্যাকেজে দুপুরের খাবার দেওয়ার নিয়ম করা হলেও খরচ করতে হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা।
বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাজ্যুয়াল শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, বাইরের ক্রেতাদের চেয়ে বিমানের কর্মচারীদের পরিমাণে কম খাবার দেওয়া হয়, করা হয় নানা ধরনের দুর্ব্যহারও।
বিমানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সংশ্লিষ্ট থাকায় বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের হরিলুট চলে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে বিমানের ক্যান্টিন লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু টেন্ডারের সময়ই ওপর মহলের কর্মকর্তারা বড় দুর্নীতি করেন। এরপরও প্রতিদিন এসব অনিয়মের মোটা অংকের টাকা তাদের পকেটে ঢোকে। যে কারণে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
স্টাফ ক্যান্টিনের নজরদারির দায়িত্বে থাকা বিমানের শিল্প সম্পর্ক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. মুজিবুর রহমান এসব বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে পারবো না’।
এসব অনিয়মের অভিযোগের সমাধানে গত জুন মাসের শুরুর দিকে সাত সদস্যের কমিটি করেছে বিমান। বুধবার (১২ জুলাই) এ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কমিটির সদস্য বিমান সিবিএ’র সভাপতি মো. মশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্টাফ ক্যান্টিনটি কেবলমাত্র বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যই করা হয়েছে। এখানে বাইরের লোক প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই। কিন্তু আমরা শুনেছি, বাইরের প্রচুর লোক এখানে আসেন। আর মূল্য তালিকাও মানছেন না ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ। বুধবার কমিটির বৈঠক রয়েছে। আশা করছি, আমরা এসবের সমাধান করতে পারবো’।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৭
ইউএম/এএসআর