হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালের দ্বিতীয় কাউন্টারে সন্ধ্যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চেক-ইন কাউন্টার চালু হয়। বেশ দক্ষতার সঙ্গেই কর্মীরা খুব দ্রুত চেক-ইন সম্পন্ন করেন যাত্রীদের।
এয়ারলাইন্সটির যাত্রী হলে আপনাকে সময় মানতেই হবে। কারণ আাপনি দেরি করলেও ইউএস-বাংলা দেরি করে না। সময়মতো বোর্ডিং করতে ছাড় দেওয়া হয় না এখানে। সাড়ে নয়টার মধ্যেই গেট পেলো সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইট বিএস৩০৭। এয়ারপোর্ট থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলেও যাত্রীদের ডাক দিয়ে গেটে নিয়ে যান ইউএস-বাংলার এয়ারপোর্টকর্মীরা। ফাইনাল বোর্ডিং হয়ে গেলেই আর দেরি নয়। দ্রুত নিজস্ব বাস ও গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয় প্লেনে কাছে।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ প্লেনে যাত্রা। ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক হিসেবে দুনিয়াজোড়া খাতির রয়েছে এই বোয়িংয়ের। ফ্লাইটে ১৫৬ টি ইকোনমি সিট এবং ৮টি বিজনেস ক্লাস। ইকোনমির পেছনের সারি ছাড়া পুরো ফ্লাইটই পূর্ণ।
ঠিক সাড়ে দশটায় নড়ে উঠলো প্লেন। ফ্লাইট ক্যাপ্টেন আলী আজমের গলা ভেসে এলো। তিনি জানালেন, এই ফ্লাইটে ফাস্ট অফিসার হিসেবে রয়েছেন মুহিত। এবং যাত্রীদের দেখভালের জন্য ক্রু সাদিয়া ও তার দল। ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৯৫০ কিমি গতিতে প্লেনটি চলবে।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর প্লেনটিতে বসার জায়গা বেশ প্রশস্ত। ফলে জানালার পাশের যাত্রী বের হলেও অসুবিধা হয় না সি বা ডি সিটের যাত্রীর। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার আকাশে ওড়ে। খাবার পরিবেশন করা হয়। এয়ারকন্ডিশনের কারণে যাদের ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিল তাদের দেওয়া হয় কম্বল।
ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে দুবাই যাবেন সিলেটের সাদমান। তিনি বলেন, খাবারের কাজটা দ্রুত শেষ করায় সামনের ট্রেটা আর বেশিক্ষণ খুলে রাখতে হয়নি। এটা ভালো লেগেছে। খাবার পরিবেশনের আগেই অবশ্য সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন কার্ড দেওয়া হয় যাত্রীদের হাতে।
৯ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুর রুটে ডানা মেলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। রোব, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছাড়ে। সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটায় পৌঁছায় চাঙ্গি এয়ারপোর্টে। সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ক্রমে আরও জনপ্রিয় ওঠা এই এয়ারলাইন্সের প্লেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এমএন/এএ