এর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ান রাষ্ট্রদূত রিনা সুয়েমারনো ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান এ বিষয়ক চুক্তিতে সই করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সরাসরি ফ্লাইটের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে ঢাকা-জাকার্তা সরাসরি ফ্লাইটের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানির
ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করে ইন্দোনেশিয়া। এ নিয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশ ‘আসিয়ান’-এর প্রবেশদ্বার হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ভৌগলিক অবস্থান কাজে লাগানোর অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া দু’দেশই উন্নয়নশীল পর্যায়ে থাকায় পারস্পরিক স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রফতানি করে। এর বিপরীতে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১১০ কোটি ৭১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে- পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম-টেক্সটাইল এবং নিটওয়্যার। আর ইন্দোনেশিয়া থেকে মূলত টেক্সটাইল সামগ্রী এবং খনিজদ্রব্য আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
জেডএম/