তবে কেবিন ক্রুদের তাৎক্ষণিক সতর্কতায় দিয়াশলাইসহ জলন্ত সিগারেট নিয়ে ধরা পড়েন সিলেটের আব্দুর রহমান (৫০) নামে ওই যাত্রী। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার পাচপাড়া গ্রামের আরমান আলীর ছেলে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র উদ্বেগের মধ্যেই এ কাণ্ড ঘটেছে।
একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের কুয়ালালামপুরগামী ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় থাইল্যান্ডের আকাশে থাকা উড়োজাহাজের যাত্রীদের সোরগোলে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ায়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা গাফিলতির ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ওই যাত্রীর ওপর। তবে উড়োজাহাজ পার্সারের তড়িৎ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও যাত্রীদের ক্ষোভ উগড়ে পড়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচকের) ওপর।
আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শলাকাভর্তি সিগারেটের প্যাকেটসহ দিয়াশলাইটি তিনি সঙ্গে নিয়েই বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন। সেটি তার পকেটেই ছিলো। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে সব স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশির মুখে পড়েন তিনি। তারপরও কিভাবে পকেটে বিস্ফোরক হিসেবে দিয়াশলাই ও সিগারেট রয়ে গেলে তা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যাত্রী বলেন, উড়োজাহাজের পেছনের অংশে দু’টি টয়লেটের একটি থেকে সিগারেটের হালকা ধোঁয়া আর গন্ধ নাকে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজানা শঙ্কায় আঁতকে ওঠেন। উড়ন্ত উড়োজাহাজে কেউ সিগারেট ধরিয়ে টয়লেট করছে- এটা কল্পনাতেও আসেনি। তারপর তো হৈচৈ- জানান তিনি।
কর্তব্যরত একজন সিনিয়র পার্সার বাংলানিউজকে জানান, এটা যে নিরাপত্তার জন্যে কত বড় হুমকি তা বলে বোঝানো যাবে না। তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা ককপিটে জানিয়েছি। ক্যাপ্টেনের নির্দেশে ওই যাত্রীর পাসপোর্ট আমরা জব্দ করেছি। উড়োজাহাজ অবতরণের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
জেডআর/এসএইচ