বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগে মেতে উঠছেন সবাই।
স্বল্প খরচে লোকালয় থেকে খুব কাছের কলাগাছিয়ায় উপভোগ করছেন শ্বাসমূলে ভরা গেওয়া, গরান, বাইন, পশুর, গোলপাতা, হোগলাপাতা, বানর, হরিণ, কুমির, মদন টাকসহ সুন্দরবনের হাজারো প্রাণবৈচিত্র্য।
নৌকা থেকে নামতেই পর্যটকদের স্বাগত জানায় ঝাকে ঝাকে বানরের দল। কারও হাতে খাবার দেখলে মাঝে মাঝে ছিনিয়েও নিয়ে যায় তারা। শত শত বানরের বাচ্চার সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠেন পর্যটকরাও।
ওয়াচ টাওয়ারে উঠে যতোদূর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ। ছবি কিংবা সেলফি তুলে প্রকৃতির সে সৌন্দর্যের মাঝেও হারিয়ে যেতে চান অনেকে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা এ্যানি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। সুন্দরবনের সৌন্দর্যের কথা সব সময় বইতেই পড়েছি, ভ্রমণের স্বপ্নও দীর্ঘদিনের। আজ নিজের চোখে দেখার সুযোগ হলো’।
ঢাকার মার্চেন্ডাইং হাউজে কর্মরত আব্দুল্লাহ আল মামুন এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে ছয়বার সুন্দরবনে এসেছি। বার বার এখানে আসতে ইচ্ছে করে। তাই ছুটি পেলেই চলে আসি বাংলাদেশের সাহসের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশে’।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নীলডুমুর ট্রলার চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের যে পাঁচটি জেলা নিয়ে সুন্দরবন, তার মধ্যে কেবল সাতক্ষীরা দিয়েই সড়কপথে বাস থেকে নেমেই দেখা যায়। দেশের যেকোনো এলাকা থেকে বাসে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে নামলেই সামনে পড়ে সুন্দরবন। আর একটু ভেতরে যেতে চাইলে লোকালয় থেকে একেবারেই কাছাকাছি কলাগাছিয়া। খুব অল্প খরচে ট্রলারে যাওয়া যায় সেখানে। শীতের শুরু থেকেই পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শোয়েব খান বলেন, পর্যটন মৌসুম চলছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক কলাগাছিয়া ট্যুরিজম সেন্টারে যাচ্ছেন। সুন্দরবন ভ্রমণে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বন বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এএসআর