ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বাস্কেট ট্রলি কেন আমাদের বিমানবন্দরে নেই!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৭
বাস্কেট ট্রলি কেন আমাদের বিমানবন্দরে নেই! কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বাস্কেট ট্রলি/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্লেনের যাত্রী মানেই চেক ইনের সময় টিকিট অনুযায়ী বইতে পারেন ২০ বা ৫০ কেজি মালামাল। অন বোর্ডে আরো ৭ কেজি বহন করা যায় হাতে। বাংলাদেশ থেকে আসা-যাওয়ার সময় প্রতি গ্রামের সুযোগ কাজে লাগাতে চান প্রত্যেক যাত্রী। আর হাতে সাত কেজির চেয়ে কয়েক গ্রাম বেশি বহনের চেষ্টাও থাকে কারও কারও। 

মালামাল নেওয়া ও বহনের সুযোগ থাকলে ইমিগ্রেশনের পর কোনো ট্রলি নেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সাত বা সাড়ে সাত কেজির ব্যাগ নিয়ে হেঁটেই বেড়াতে হয় যাত্রীকে।

যদি ১৬/এ বা ৬ নম্বর গেটে কারো বোর্ডিং হয় তার জন্য কষ্ট কিন্তু কম নয়। আবার অসুস্থ যাত্রীদের জন্যও বয়ে বেড়ানো কষ্টসাধ্য।  

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পার হয়ে জিএসটি উত্তোলনসহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে হয়। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস৩১৬ এর বোর্ডিং সি ৩৩ গেটে।  

এর আগে অভ্যন্তরীণ ইলেক্ট্রনিক ট্রেনে বিমানবন্দরের আরেকটি অংশে যেতে হয়। যেখানে সি-১ থেকে সি-৩৩ পর্যন্ত গেট। এখানে রয়েছে স্টারবাকসের মতো আর্ন্তজাতিক চেইন কফিহাউস ও জারা, লিপ্রোর মতো আর্ন্তজাতিক ব্র্যান্ডের দোকান। রেস্টুরেন্ট আর দোকানগুলো বেশ খোলামেলা। ইচ্ছে করলে সেখানে ছোট ট্রলি নিয়েই ঘুরে বেড়াতে পারেন যাত্রীরা।  

যেসব যাত্রী দীর্ঘ সময়ের জন্যে ট্রানজিট নেন, তারা অনেক সময় কাটানোর জন্য এসব দোকানে ঘুরে বেড়ান। খাবারও খেতে পারেন তারা। এই বিশাল এয়ারপোর্টে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঘোরা কষ্টসাধ্য। এর মধ্যে যদি কিছু কেনাকাটা করেন তাহলেতো তাও বয়ে বেড়াতে হয়।  

খুব বেশি দেশের এয়ারপোর্ট দেখার সুযোগ হয়নি। তবে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট বা সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টেও ইমিগ্রেশনের পর ছোট ট্রলি বহন করতে পারেন যাত্রীরা। ব্যাংককেতো ইমিগ্রেশনের পর ফলের জমজমাট বাজার। অনেকেই কেজি কেজি ফল কেনেন সেখান থেকে। আর সুপাস্টোরের মতোই এই ট্রলি বাস্কেট নিয়ে ঘোরা যায় বোর্ডিংয়ের আগ পর্যন্ত।  

ঢাকাগামী যাত্রী সুলেমান হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, দুনিয়ার সব এয়ারপোর্টেই এখন ইমিগ্রেশনের পর বাস্কেট ট্রলি রাখা হয়। কারণ যাত্রীরা অনেক সময়ই ক্লান্ত থাকেন বা হাতের ব্যাগের ওজনও বেশি হয়। আবার কেনাকাটার জন্যও এই বাস্কেট ট্রলির প্রয়োজন রয়েছে। এমনকি অনেক এয়ারপোর্টে স্ট্রলার (শিশুদের বহন করার ট্রলি) পর্যন্ত থাকে। কারণ ইমিগ্রেশনের পরের এলাকাটি ট্রানজিটের এবং সেখানে অনেক সময় কাটাতে হয়।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের কোনো সুবিধাই নেই। সেখানে ইমিগ্রেশনের পর যেমন একজন যাত্রীর সময় কাটানোর উপায় নেই, তেমনি কোনো বাস্কেট ট্রলিও নেই যে কেউ সেখানে হাতের ব্যাগ রেখে ঘুরতে পারবেন। শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর বাস স্টেশনের মতো। ইমিগ্রেশন শেষে চেয়ারে বসে লাইন ধরে অপেক্ষা করা। এরপর বোর্ডিং গেট খুললে লাইন ধরে সেখানে ঢোকা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।