মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ‘বিইউপি সমাবর্তন ২০১৭’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে তিনি সনদ গ্রহন করেন। মিরপুর সেনানিবাসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর তত্ত্বাবধায়নে তিনি গবেষণা করেন।
এম ফজলে আকবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং রয়্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। এমফিল করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তিনি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওয়ার স্টাডিতে স্নাতক ডিগ্রি এবং বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ থেকে এনডিসি ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়া তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোয়েটা স্টাফ কলেজে পিএসসি কোর্স, চীনের এন্টি এয়ারক্রাফট ফায়ারিং ড্রোন কোর্স এবং যুক্তরাজ্যে সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোর্সও করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলের গেরিলা যোদ্ধা এম ফজলে আকবর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ২০১৫ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর কমান্ড্যান্টের দায়িত্ব থেকে অবসরে যান।
বর্ণাঢ্য কর্মজীবন জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এর মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার, ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহকার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লাইবেরিয়ায় ইউএন মিশনে বাংলাদেশের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
এছাড়া তিনি ৫ বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর 'আর্টিলারি রেজিমেন্টের কর্নেল কমান্ড্যান্টের সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এক মেয়ের জনক ফজলে আকবর একজন গলফ খেলোয়াড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি