শনিবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ড্রিমলাইনার। এর মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে তিন দিন, সিলেট হয়ে এক দিন এবং সরাসরি ২ দিন চলাচল করবে।
মরদেহ ও অসুস্থ যাত্রী পরিহন এবং ব্যাগেজ জটিলতা নিরসনে মাস্কাট রুটে বাংলাদেশ বিমানের বড় উড়োজাহাজ চালুর জন্য চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের আহ্বানের প্রেক্ষিতে বিমান প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের মধ্য জুলাইয়ে হজের জন্য এ রুটে বিমানের বড় উড়োজাহাজ বন্ধ রাখা হয়। হজ শেষে তা চালুর কথা থাকলেও তা আর হয়নি। দেওয়া হয় বোয়িং ৭৩৭ ছোট পরিসরের উড়োজাহাজ। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে প্রায় ৮ লাখ ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশি। হিমঘরে মরদেহ আর হাসপাতালে অপেক্ষায় থাকা অসুস্থ প্রবাসীদের তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে।
এ বিষয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে বৈঠক করে চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ওমানপ্রবাসীদের দুর্ভোগ নিরসনে বড় উড়োজাহাজ চালুর জোরালো আবেদন জানায় সমিতি। এ সময় এনআরবি-সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও ওমান প্রবাসীর দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতিমন্ত্রী বড় উড়োজাহাজ দ্রুত চালুর আশ্বাস দেন এবং ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ বিমানের মাস্কাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি ফ্লাইটে প্রবাসীদের ৩টি মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বড় উড়োজাহাজ আবার চালু হওয়াতে বিমান প্রতিমন্ত্রী এবং বিমান কর্তৃপক্ষের প্রতি ওমান প্রবাসীদের পক্ষে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সমিতি ওমান।
যুক্ত বিবৃতিতে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তাপস বিশ্বাস বলেন, ৬ মাস সীমাহীন কষ্ট আর উৎকন্ঠায় দিন কেটেছে ওমান প্রবাসীদের। তাই বড় উড়োজাহাজ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে সবার মাঝে। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে আশা করছে সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি