শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের এই প্লেনটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় ওয়াটার স্যালুটের মাধ্যমে অত্যাধুনিক এ প্লেনটিকে স্বাগত জানানো হয়।
বিমানের জনসংযোগ দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘রাজহংস’ বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী, ক্যাপ্টেন সরওয়ার, ফার্স্ট অফিসার জামিল ও আতিয়াব।
জানা গেছে, খুব শিগগির প্লেনটির অানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর অাগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় সিয়াটল থেকে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করে ‘রাজহংস’। এ ড্রিমলাইনারে আসন সংখ্যা মোট ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ইকোনমি ক্লাস ২৪৭টি। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় এটি যাত্রীদের আরামদায়ক বিশ্রামের জন্য সহায়ক।
বিমানকে ড্রিমলাইনারের মালিকানা হস্তান্তর করেন বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্টাক্ট) জন বর্বার। বিমানের পক্ষে পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিক সাপোর্ট) মো. মমিনুল ইসলাম মালিকানা বুঝে নেন। এসময় বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী, পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ বিমান ও বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, উড়োজাহাজটি দেশে আসার নির্ধারিত সময় ছিল ১২ সেপ্টেম্বর। তবে এটি ডেলিভারি দেওয়ার আগ মুহূর্তের পরিদর্শনে রাডারে ত্রুটি দেখায় সেটি সারাতে ৪৮ ঘণ্টা সময় নেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। পরে ক্রটিমুক্ত হওয়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে বোয়িংয়ের সঙ্গে ১০টি নতুন প্লেন কেনার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সবশেষ ড্রিমলাইনারটি শনিবার দেশে এসে পৌঁছালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
টিএম/এইচএ/