নীলফামারী: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে উঠছে। আশা করি, ভারত, নেপাল ও ভুটান এ বিমানবন্দরের মাধ্যমে ট্রানজিট সুবিধা পাবে।
ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত হচ্ছে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। তাই সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত। ভারত কখনো সীমান্তে প্রাণহানি চায় না। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) নির্দেশনা দেওয়া আছে, গুলি না চালানোর জন্য।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার গোলাহাটে বদ্ধভূমি পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাট্টি, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান, পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর শাখার সভাপতি রাজকুমার পোদ্দার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু নেতৃস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার দিনাজপুর শহরের রায়সাহেব বাড়িতে শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দির মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল উদ্বোধন, কাহারোলে কান্তজিউ মন্দির ও খানসামায় মন্দির পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে এবং সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা প্রাণহানি শূন্যে নেমে আসবে। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ভারতীয় হাইকমিশনার শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭১ সালের ১৩ জুন হিন্দু ও মাড়োয়ারি পরিবারের ৪৪৮ জনকে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সৈয়দপুরের গোলাহাটের খোলা স্থানে এনে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। পরে গোলাহাট বদ্ধভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এসআই