ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চায় না আ’লীগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চায় না আ’লীগ

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ না করা এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তাব করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 

আগামী ১৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি যে সংলাপ করছে তারই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

এই সংলাপে উপস্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই দলের একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানান, নির্বাচন হবে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী। সংবিধান অনুযায়ীই বর্তমান সরকার নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। অন্য কোনো বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই।

এদিকে সংলাপে নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি স্থগিত রাখার প্রস্তাব করা হতে পারে। দলটির নেতারা বলছেন, এখন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ হয় সাধারণত আদমশুমারির পর জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে। সীমানা নির্ধারণ প্রয়োজন হলে আগামী আদমশুমারির পর করতে হবে।

আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের জন্য যে বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে তার মধ্যে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। তবে প্রয়োজনে ইসি সেটা করলেও সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া যাবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনী। তাদেরকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার না করাই ভাল বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন।

ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা চালু করে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চায় আওয়ামী লীগ। ইসি সংলাপে এ প্রস্তাবটি করা হবে। তবে আগামী নির্বাচন থেকেই ইসি এটি বাস্তবায়ন করতে না পারলে পরবর্তীতে যাতে করা হয় সে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এদিকে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে আধুনিক ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিন্ন পোস্টার করা, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ইসির উদ্যোগে একই সমাবেশের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাবও থাকতে পারে। এই সমাবেশে প্রার্থীরা নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পাবে।

তবে এ ব্যাপারে দলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। বিষয়টি কার্যনির্বাহী কমিটিতে আলোচনায় আসতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, অভিন্ন পোস্টার বা এক স্থানে জনসভা করলে কি সুবিধা হবে। এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে কার্যনির্বাহী কমিটিতে।

এছাড়া প্রার্থীদের জামানতের টাকা হিসেবে বর্তমানে ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ হাজার করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।         

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটা খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করা হতে পারে। আগামী নির্বাচনেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা সেটা একটা বিষয়। তবে ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হবে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আসলে কোনো বিষয়ই চূড়ান্ত হয়নি। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আলোচনার মধ্যমে চূড়ান্ত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪ , ২০১৭
এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ