সোমবার (৮ জানুয়ারি) উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে দু’টি কলেজের পাঠদান। এছাড়া এমসি কলেজের স্নাতক প্রথমবর্ষের চলমান ইনকোর্স পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নগরীর টিলাগড়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ। পরে বিক্ষোব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চলমান ‘কাউন্সিলর আজাদ কাপ’র ভেন্যু ভাঙচুর করে।
এদিকে, দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত তানিমের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। দাফনের জন্য মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জানায় দলীয় সূত্র।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপের ‘ফাইটার খ্যাত’ ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন ডায়মন্ডসহ চারজনকে আটক করেছে।
আটক অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের আজাদ গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী রুহেল আহমদ, জাকির আহমদ ও সৈয়দ আবিদ আহমদ।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে টিলাগড় পয়েন্ট প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগকর্মী তানিম। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তানিম সিলেট সরকারি কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ছাত্র ও টিলাগড় এলাকার ছাত্রলীগকর্মী। তার সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ভুরুঙ্গা এলাকার ইসরাইল খানের ছেলে। তিনি রঞ্জিত গ্রুপের কর্মী ছিলেন।
গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকার ও সিটি কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন কর্মী আহত হন। এ ঘটনার দু’দিন পরই কোন্দলেই ছাত্রলীগকর্মী তানিমকে প্রাণ হারাতে হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এনইউ/জিপি