বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পেছনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কয়রা উপজেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল হালিম গাজী, সাবেক ছাত্রলীগের নেতা তরিকুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা সোহরাব আলী ঢালী, সাবেক যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান কোহিনুর, যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম, মোজাফ্ফার হোসেন, আ’লীগ কর্মী মাওলা গাজী, ছাত্রলীগ কর্মী জাকারিয়া ও রায়হান।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা চলাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তারা আহত হন। আহতরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসিন রেজা ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফির নেতৃত্বাধীন স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে উপজেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভা চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। এর কিছু সময় পর সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের উপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। এতে নয়জন আহত হন।
কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসিন রেজা বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা চলাকালে কামরুজ্জামান জামালকে দাওয়াত না দেওয়া হলেও তিনি আসেন। এটা জেলার কোনো অনুষ্ঠানও না। তিনি আসার পর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে নয় নেতাকর্মী আহত হন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলাম। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে আমার বক্তৃতার আগে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা কে কার আগে বসবে তা নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। একই সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আলোচনা চলাকালে সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এমআর/এএটি