ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘যুদ্ধাপরাধের বিচারে ঐক্যফ্রন্টের অঙ্গীকার হাস্যকর’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
‘যুদ্ধাপরাধের বিচারে ঐক্যফ্রন্টের অঙ্গীকার হাস্যকর’

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালিয়ে রাখার অঙ্গীকার হাস্যকর, অবিশ্বাস্য এবং জাতির সঙ্গে প্রতারণা বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এ অভিমত দেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তিনি।

দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণায় বলা হয়, তারা ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালিয়ে যাবে।

আব্দুর রহমান বলেন, ২৩ জনের বেশি যুদ্ধাপরাধী ও তাদের উত্তরসূরী নিয়ে তারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। আর যুদ্ধাপরাধীরা ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই আছে। সুতরাং এই ঐক্যফ্রন্টই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে, এমন অঙ্গীকার হাস্যকর ব্যাপার, অবিশ্বাস্য। যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মনোনয়ন পর্যন্ত দিয়েছে, তারা কী করে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? এটা জনগণের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এই ইশতেহারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তামাশা করছে।

দুর্নীতিতে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিল। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজেই দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। তাদের মুখে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা যেন ‘ভুতের মুখে রাম নাম’। দেশের মানুষ কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না যে তারা দুর্নীতি দূর করবে, এটা ভোটের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারকে রাজনৈতিক অপকৌশলের ইশতেহার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্য এ ধরনের ইশতেহার দিয়েছে তারা।

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার সময় জোটের নেতা ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের বিষয়ে আব্দুর রহমান বলেন, তার আশঙ্কা প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমাদের কাছে পরিষ্কার হলো- এই নির্বাচনকে বানচালের নানা চক্রান্তের জাল বুনছে তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, যে কোনো মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়েছে। তাদের মনোনয়ন বাণিজ্যে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এর দায়ভার আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই, নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমরা যেমন প্রস্তুত বাংলাদেশের মানুষও প্রস্তুত। সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

আব্দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা, উন্নয়ন ও অর্জনের কারণে আবারও তাকে দেশের জনগণ ক্ষমতায় আনবে। জনগণের এমন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ৩০ ডিসেম্বর হতে যাচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮
এসকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ