শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। কিছুদিনের মধ্যেই যাদের মুখ থেকে সুশৃঙ্খল নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি শোনা যাবে, তাদের শোডাউনে রীতিমতো হুলস্থুল অবস্থা হয় এ এলাকায়।
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বাইরে বা ভেতরে- সবখানেই হুলস্থুল অবস্থা। মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসা প্রার্থী বা প্রার্থীদের পক্ষের লোকজনের ভিড়ে ফরম জমা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা দলটির নেতাকর্মীরাও আছেন বিপাকে। বারবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলেও স্লোগান না দেওয়া, বিশৃঙ্খলা না করার নির্দেশনা মানছেন না বেশিরভাগ কর্মীই। এমনকি কার্যালয়ের ভেতরে নিজেদের মধ্যেই শুরু করছেন ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি।
কার্যালয়ের বাইরে নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত সমাগমে ব্যাহত হচ্ছে ধানমন্ডির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানের বিকিকিনি। শুক্রবারের ছুটিতে শীতের বিকেলে এলাকার আশপাশে পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা বেড়াতে এসেছেন, দিনশেষে তাদের মধ্যে ছিল আফসোস আর ক্ষোভ।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আনিস আহমেদ সস্ত্রীক রিকশায় বসে বলেন, ‘একটা দিন ছুটি পাই। তাই পরিবার নিয়ে বের হলাম। মনে হচ্ছে জ্যাম যতক্ষণে ছাড়বে, তখন বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে যাবে। এরা নাকি আমাদের যানজটমুক্ত সড়ক, হকারমুক্ত ফুটপাত, সুন্দর নগরী দেবেন, নগরের শোভা বর্ধন করবেন!’
এদিন নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাত মসজিদ প্রধান সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ। দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সড়কের পাশে গিয়ে সমাবেশ করার অনুরোধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
তবে, এটিকে বিশৃঙ্খলা নয় বরং ‘নির্বাচনী আমেজ’ বলছেন মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসা নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/একে