সোমবার (২ মার্চ) ভোর ৬টা ১০মিনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (১ মার্চ) বিকেলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন কয়রা ছাত্রলীগের হাদিউজ্জামান রাসেল। পরে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার বিকেলে উপজেলার বাগালি ইউনিয়ের বাইলহারানিয়া এলাকায় বাতিকাটা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগের নেতা মো. হাদিউজ্জামান রাসেলসহ দু’পক্ষের ৮ জন আহত হন। রাসেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রোববার রাতেই খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাইলহারানিয়া গ্রামের আলিম মাদ্রাসার পাশে বাতিকাটা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের ঢালাই কাজ চলাকালে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় হাফিজুর রহমানের তিন ছেলে তুহিন হোসেন (৪০) বাবু (৩৭) ও মিলন (৩০) শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসে তা মীমাংসা করে দেয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হাদিউজ্জামান রাসেল ঘটনাস্থলে এলে ক্ষিপ্ত থাকা তুহিন, তার ভাইয়েরা ও স্থানীয়রা মিলে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা আত্মরক্ষায় পাল্টা আক্রমণ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এসে গুরুতর জখম অবস্থার হাদিউজ্জামান রাসেল, ইয়াছিন আরাফাত (১৯) রাজু (২২), আব্দুল্লাহ (২৯), আবুল হাসান (২০), সেলিমসহ (৩২) কয়েক জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর হাদিউজ্জামান রাসেলকে অবস্থার অবনতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার পর ঘটনাস্থাল থেকে তুহিন হোসেন ও মিলনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমআরএম/এএটি