করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব ভয়ংকর পরিস্থিতি পার করছে। বাংলাদেশেও শক্ত থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস।
ঈদে রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় যান এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন। কিন্তু এবার সেই সুযোগ থাকছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতা ও মন্ত্রীই ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছরের মতোই সরকারি বাসভবন গণভবনে ঈদ উদযাপন করবেন। প্রতি বছর ঈদের দিন সকালে তিনি গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। এবার সেটা থাকছে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, নৌপরিহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনসহ অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতার খবর নিয়ে জানা যায় তারা ঢাকায় ঈদ করবেন। তবে নেতারা ঢাকায় বসে অনেকেই ভিডিও কনফারেন্সে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদ হচ্ছে দুঃখের ঈদ। সাধারণ ঈদে মানুষের মনে যে আনন্দ দেখা যায় সেটা দেখছি না। করোনার চাপে দুই মাস লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ কোনো কাজ করতে পরেনি। তাদের আয়ও নেই। আবার প্রবাসীরা, এদেরও আয় বন্ধ। তাই বলতে হয়- রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ-কিন্তু এবার আমি কোনো খুশি দেখছি না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ঈদে কোনো আমেজ নেই, আনন্দ নেই। ধর্মীয় বিশ্বাস তাই পালন করতে হবে। কারণ করোনার কারণে মানুষ ঘরবন্দি। মানুষের মনে আনন্দ নেই। ঈদে যে সব শ্রেণির মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, এক সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে, এবার সেটা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসকে/এইচএডি