ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
‘শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল’

ঢাকা: ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৭ সালের এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়েছিল। সে কারণে ১৬ জুলাই শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও বন্দি দিবস।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, যার কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয় এবং সংকটে-সংগ্রামে যিনি অবিচল-অনির্বাণ, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় এই দিনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

প্রকৃতপক্ষে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধ কণ্ঠ রোধ করার জন্য, গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্যই সেদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়।

‘কিন্তু সেদিন যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা অনুভব করতে বাধ্য হয়েছে যে, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়েও বন্দি শেখ হাসিনা অনেক বেশি শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ সেদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এবং সেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। তার মুক্তি লাভের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ ধস নামানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিল।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১১ বছর ধরে বাংলাদেশকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ তার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১১ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যোগ করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৃথিবীতে সর্বোচ্চ।

‘কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলছে, তার এ নেতৃত্বের জন্য বিশ্বব্যাংক , জাতিসংঘ, পৃথিবীর বরেণ্য নেতারা যখন প্রশংসা করেন, তখনও এক-এগারোর কুশীলবরা ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের গতিবিধির ওপর সরকারের নজর আছে। সেই সঙ্গে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যারা গণতন্ত্রের অব্যাহত অভিযাত্রায় বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই। ’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এই করোনা সংকটের মধ্যে মানুষকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে, জনমানুষের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে, অর্থনীতিকে এই সংকটের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের জিডিপির ৩.৬ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আজ শুধু গণতন্ত্রের মানসকন্যা এবং গণতন্ত্রের মুক্তির প্রতীকই নন, উন্নয়ন অগ্রগতির প্রতীক, তাকে লাল সালাম।

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামাত সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল, তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, দুঃশাসন, একই সঙ্গে জঙ্গিবাদের উত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল। তারা বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। সেদিন বিএনপি-জামাত জোটের পৃষ্টপোষকতায় আদালতে ও পথচারীদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখতে পেলাম, যারা দুর্নীতি, দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে নরকে রূপান্তরিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ