বাহরাইন: ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)সৌদি আরব সহ আরব বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাহরাইনে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
বাংলাদেশের মতো হাটে গিয়ে পশু কেনার ব্যবস্থা এখানে না থাকলেও বাহরাইনের স্হানীয় খামারগুলোতে চলছে পশু কেনাবেচা।
বাহরাইনে পশু কিনে বাসার সামনে বেঁধে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রবাসীরা পছন্দের পশুটির মূল্য পরিশোধ করে সিরিয়াল নাম্বার সম্বলিত রশিদ নিয়ে ফেরত আসছেন। ওই একই নম্বর পশুর গলায় ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়, কোরবানির দিন বা তার আগের দিন রাতে রশিদ দেখে খামারিরা ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে ক্রেতাদের ঠিকানায় পশু পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।
খামার মালিক ওয়াদুদ ফারদান বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির পশুর বেশিরভাগ ক্রেতাই বাহরাইনি, বাংলাদেশি,পাকিস্তানি ও ভারতীয়। তবে, অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশিদেরই বেশি গরু কোরবানি দিতে দেখা যায় । বাংলাদেশিরা সাধারণত কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে একটি গরু কোরবান দেয় বলে তিনি জানান।
আকার আকৃতি ভেদে গরু ৪০০ থেকে ১২০০ দিনার, ভেড়া ২৫ থেকে ৪০ দিনার, ছাগল ৬০ থেকে ১০৫ দিনারে বিক্রি হচ্ছে।
মানামা থেকে পশু ক্রয় করতে আসা ব্যবসায়ী বদরুল আমিন জানান-তারা ৬ বন্ধু মিলে ৬৫০ দিনারে(১ দিনার=২০৮ টাকা) একটি গরু কিনেছেন। মোহাররাকের জামাল উদ্দীন ৬৫ দিনারে সোমালীয়ার একটি ছাগল কিনেছেন।
মূলত ইয়েমেন, সোমালিয়া,সিরিয়া, সুদান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গরু, ছাগল, উট,দুম্বা, ভেড়া বাহরাইনে আসে এবং এখানে স্হানীয়ভাবে পালিত কিছু পশু ও দেখা যায়। ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় অনেকে পশুখামারের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে এবং বাহরাইনে ধীরে ধীরে খামারের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান পশু খামারের কর্মচারী বেলাল।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
পিসি