বাহরাইন: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাহরাইনে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে জুপের গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের বৃহৎ এ জামাতে শরীক হতে পাশ্ববর্তী এলাকা ও দূরদুরান্ত থেকে মুসল্লিরা ভিড় জমান ঈদগাহে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মেহেদী হাসান ও কাউন্সিলর (শ্রম) মুহিদুল ইসলাম, তুবলী মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এছাড়াও মানামা, গুদাইবিয়া, রাস রোমান, মোহাররাক, সালমাবাদ, রিফা, জালালী, আল দাইর, আ’আলী, তুবলী, আরাদ, সার, ঈসাটাউনে ফজরের নামাজের পরই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
হামাদটাউনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালিদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে।
জামাত শেষে চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশি প্রবাসীরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। নামাজের পর পরই প্রবাসীরা কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
যত্রতত্র পশু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় প্রবাসীরা কেউ বাগানে, বাসার নিচে কার পার্কিং, কিচেন রুম, বাসার করিডোরে কোরবানির পশু কাটাকাটি করতে দেখা যায়।
ঈদের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শাহাদাত হোসেন নামে এক প্রবাসী বলেন, প্রবাসীদের ঈদটা একটু কষ্টের, বেদনাদায়ক। কারণ এই আনন্দের দিনে পরিবার, প্রিয়জন কাছে না থাকায় মনটা বিষন্ন হয়ে ওঠে।
প্রথমবারের মতো প্রবাসে ঈদ করছেন কামাল উদ্দীন। তিনি বলেন-ঈদের নাম আসলে মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে, দেশে ছুটে যেতে চায় মন। আপন মানুষগুলোকে কাছে না পেয়ে আনন্দের এই দিনে পৃথিবীর সব বিষাদ হৃদয়ে ভর করে।
এবার রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল কে এম মমিনুর রহমান ছুটিতে দেশে থাকায় ‘বাংলাদেশ হাউসে’ প্রবাসীদের ঈদ সংবর্ধনা হচ্ছেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
জেডএস