ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশ্বের যেকোনো ব্যাংক সমস্যায় পড়লে রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহায়তা করে, বাংলাদেশ ব্যাংকও করেছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংকে ১ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা আমানত রয়েছে। অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ। ইসলামী ব্যাংকটিতে শেয়ারহোল্ডারের চেয়ে সাধারণ মানুষের বেশি টাকা রয়েছে। ইসলামী ব্যাংক সমস্যায় পড়লে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতো। মানুষের ক্ষতির কথা বিবেচনায় এনেই সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক এখনো বন্ধ হয়নি। ব্যাংক সমস্যায় পড়লে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সাপোর্ট দিয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকরা তাকে কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাপে আছেন কি না প্রশ্ন করেন। উত্তরে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমার ওপর কিংবা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই। বিশেষ কারও নিয়ন্ত্রণও নেই। ব্যক্তি যে-ই হোক, আমরা তাকে গ্রাহক হিসেবে দেখি। ভালো মানের গ্রাহক হলে আমরা তাকে ঋণ দিই। যেন সে আরও বড় হতে পারে, উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে আমদানি কমে এসেছে। আমদানির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেশি হয়েছে। এতে ডলারের ওপর যে চাপ পড়েছিল তা ও কমে এসেছে। আমদানি এলসি খোলা কমানোর প্রভাব আসন্ন রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে পড়বে না।
তিনি আরও বলেন, ওভার ইনভয়েজিং, আন্ডার ইনভয়েজিং করে টাকা পাচারের ঘটনা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের এলসি খুলতে পণ্যের যে দাম ছিল তার এক-চতুর্থাংশে এলসি খুলেছে গ্রাহকরা। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটা করেছে। বাকি তিন-চতুর্থাংশ অর্থও কোনো না কোনো জায়গা থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। এসব বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে ওঠে এসেছে। এগুলো অনেকাংশই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আরও কমে আসবে।
গভর্নরের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
জেডএ/এমজে