তিনি বলেছেন, ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মৌলিক নীতিমালা ও ইসলামী শরিআহ’র সব বিধিবিধান কঠোরভাবে পরিপালন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সর্বদা অটুট রাখা হবে।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. জিল্লুর রহমান, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল মাবুদ, পিপিএম, পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব-উল-আলমসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরাস্তু খান বলেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের অকুণ্ঠ বিশ্বাস, আস্থা ও ভালোবাসার কারণে ইসলামী ব্যাংক সফলতা লাভ করেছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত এই ব্যাংকের অভাবনীয় সাফল্য প্রমাণ করেছে শরি’আহভিত্তিক ব্যাংকিং পদ্ধতি প্রচলন করা সম্ভব। দেশে-বিদেশে এই মডেল গত ৩৪ বছর ধরে বিভিন্ন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে এর বাস্তবতা দৃশ্যমান হয়েছে।
সুদবিহীন ব্যাংকিং চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের আমানত গ্রহণ, অর্থায়ন সেবা ও বিনিয়োগসহ সব কার্যক্রম শরিআহ মোতাবেক সুদবিহীন এবং লাভ ক্ষতির ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে। নিরাপদ ও কল্যাণমুখী খাতে এ ব্যাংকের বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাংক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্ত-মানবতা ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর সেবায় সিএসআর কার্যক্রম পরিচালনা করবে। গ্রাহকদের আমানত সংরক্ষণসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধার প্রতি আরও বেশি মনযোগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
আইএ