বৈঠকে খেলাপী ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোর কাছে সুনির্দিষ্ট মতামত ও কর্মপন্থা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের বিশেষ স্টাডিস সেল আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নির্মল চন্দ্র ভক্ত।
অংশ নেন আট ব্যাংকের একজন ডিএমডির নেতৃত্বে দু’তিনজন করে সদস্য। এতে খেলাপী ঋণ কিভাবে কমিয়ে আনা যায় এবং নতুন করে যাতে তাদের খেলাপী ঋণ আর না বাড়ে সেজন্য সুর্নিদিষ্ট মতামত চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসরকারি খাতের উত্তরা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক।
জানা গেছে, বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিগগিরই ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া ও মতামত চাইবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি ফলপ্রসূ হলে পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও বৈঠক করা হবে। ব্যাংকিং খাতে প্রতি প্রান্তিকেই বাড়ছে খেলাপী ঋণ। বর্তমানে এক তৃতীয়াংশ ব্যাংকের খেলাপী ঋণের হার অস্বাভাবিক মাত্রায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের ২৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ ও জনতা ব্যাংকের ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ খেলাপী ঋণ রয়েছে। বেসরকারি খাতের মধ্যে উত্তরা ব্যাংকের ১১ শতাংশ, আল-আরাফাহ ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ৫ দশমিক ২১ শতাংশ ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ঋণ খেলাপী হয়ে পড়েছে।
এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপী ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যা আগের প্রান্তিক জুন শেষে ছিল ৬৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। ফলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসেই খেলাপী ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এ সময়ে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি সব খাতের ব্যাংকেরই খেলাপী ঋণ বেড়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যাংকের বেড়েছে শতাংশ হিসেবে, আবার কিছুর বেড়েছে পরিমাণের ভিত্তিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসই/জেডএস