বুধবার (১৯ জুলাই) রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের সিবিএ সভাপতি খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, সেক্রেটারি মো. কাবিল হোসেন কাজী ও কেয়ারটেকার মো. আরমান মোল্লাকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এছাড়াও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে ড্রাইভার মো. আবুল কালাম আজাদকে।
ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে- কেয়ারটেকার মো. আনোয়ার হোসেন, ছাব্বির আহমেদ ভুঁইয়া ও মনিরুল ইসলামসহ অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার (গ্রেড-১) মো. আহসান হাবিবকে।
এর আগে ১৩ জুলাই সিবিএ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও একজন কেয়ারটেকারকে কেন বরখাস্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে জবাব চেয়েছিলো ব্যাংক। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় চূড়ান্ত বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
রূপালী ব্যাংকের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে সিবিএ নেতাকর্মীদের ১৪ বছরের অনাচারের লাগাম টেনেছে রূপালী ব্যাংক। এর আগে ২০০৩ সালে শাস্তি স্বরুপ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন তৎকালীন গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. নূরুজ্জামান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শওকত আলী খান, সহকারী মহাব্যবস্থপক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশালীন আচরণ করে তাদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন আলোচিত এ সিবিএ নেতারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই ৫ জনকে (সংস্থাপন ও কল্যাণ বিভাগের অফিস সহকারী মো. কাবিল হোসেন কাজী, একই বিভাগের ড্রাইভার মো. আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার গ্রেড-১ মো. আহসন হাবিব এবং কাপ্তান বাজার শাখার অফিস সহকারী মো. আরমান মোল্লা) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সিবিএ সভাপতি মতিঝিল কর্পোরেট শাখার জুনিয়র অফিসার খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, ভিজিলেন্স ও ইন্টিলিজেন্স বিভাগের অফিস সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম ও শিল্প ঋণ বিভাগের অফিস সহকারী মো. ছাব্বির আহমেদ ভূইয়াকে চার্জশিট করা হয়। পরে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জড়িত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উল্লেখিত সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মারধর এবং সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসই/জেডএস