রোববার (৬ আগস্ট) এমন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে জারি করা এবং ১৯৮৪ সালে জারি করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।
চলতি এপ্রিলে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংক আমানতকারীদের মনোনীত নমিনির কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়েছে যে, আমানতকারীর মৃত্যুর পর তাঁদের মনোনীত নমিনি মৃত ব্যক্তির হিসাবে রক্ষিত আমানত প্রাপ্তির জন্য যোগ্য বা উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত না-ও হতে পারেন। কিন্তু এই অঙ্গীকারনামা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ সাল পর্যন্ত সংশোধিত)-এর ১০৩ ধারায় নির্দেশনার পরিপন্থি। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ একটি মামলার রায়ে মৃত ব্যক্তির ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে বণ্টনের নির্দেশ দেন। রায়ে বলা হয়, আমানতের অর্থ নমিনি নয়, আইনসঙ্গত উত্তরাধিকারীরা পাবেন। নমিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবের হেফাজতকারী মাত্র।
আদালতের ওই রায়ের পর অনেক ব্যাংক নতুন হিসাব খোলার সময় নমিনিকে টাকা না-ও দেওয়া হতে পারে-এই মর্মে অঙ্গীকারনামা নেওয়া শুরু করে। সৃষ্ট জটিলতার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্রে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো ব্যক্তি মারা গেলে ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা তার নমিনি (মনোনীত ব্যক্তি) পাবেন।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানির কাছে রক্ষিত কোনো আমানত যদি একক ব্যক্তি বা যৌথভাবে একাধিক ব্যক্তির নামে জমা থাকে-তাহলে ওই একক আমানতকারী এককভাবে বা ক্ষেত্র মতো যৌথ আমানতকারী যৌথভাবে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এমন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত করতে পারবেন। আর আমানতকারীর মৃত্যুর পর আমানতের টাকা মনোনীত ব্যক্তিকে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
এসই/এমজেএফ