শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০১৭ ঘোষণা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকে অনেক এগিয়ে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিনই থাকুক, ওদের নিয়ে যদি কক্সবাজার এলাকাটা ধরি। রোহিঙ্গারা এসব সূচক থেকে অনেক পিছিয়ে। কারণ রাখাইন এলাকা সবচেয়ে অবহেলিত। রোহিঙ্গাদের এই সংকট বাংলাদেশের সামনে এত বড় চ্যালেঞ্জ, আমরা এখনো বুঝতে পারছি না।
ওয়াহিদ মাহমুদ বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা যদি ভালো উদ্যোগ আয়োজন করি, সেগুলো চালিয়ে যাওয়া অংশ হলো মিটিং। ওদের (রোহিঙ্গা) জন্য আমাদের অনেক উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা স্বাভাবিকভাবে যেগুলো করি সেগুলো করতে থাকবো। এটা আমার একটি মানবিক অনুরোধ। সারাক্ষণ ইন্টারনেটে রোহিঙ্গাদের দেখার পর মাথা ঠিক থাকে না।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জিডিপির সবচেয়ে গতিশীল খাত হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা শ্রেণি খাতের বিকাশ। যেমন হাঁস- মুরগি পালন ও মাছ চাষ। অভ্যন্তরীণ মাছ চাষে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে। আগে যেভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ঋণে ব্যাংকিং সেক্টর এবং বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভাগ ছিল, এটা আস্তে আস্তে অনেক কমে গেছে।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ এখন আর ক্ষুদ্র নাই। ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ নামে আলাদা একটি উইন্ডো খুলেছে। সেখান থেকে মাঝারি ঋণও বিতরণ করা হচ্ছে। এরা ক্ষুদ্র ঋণের প্রায় ৮-১০ শতাংশ। মাইক্রো ফাইন্যান্স ইনস্টিটিউট থেকে এক তৃতীংয়াংশ ঋণ নিচ্ছে বড়রা।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের ঝুঁকি বহন করার ক্ষমতা আছে তা প্রমাণ করতে হবে। এটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। যারা মূলধারার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ গ্রহিতা, বাড়িতে বসে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালায়, তারা খুব ছোট এবং একদম দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এতে উন্নত কিছু থাকে না। উৎপাদন সমস্যার কারণে বড় শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বড় বাজারে যেতে পারছে না। আরেকটি বিষয়, তারা যেসব পণ্য উৎপাদন করে তা বাজারজাত করতে পল্লী এলাকায় নিজেদের সুনামের ভিত্তিতে বিক্রি করে থাকে। তারা রিয়েল সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এসই/এসএইচ