ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, অনেক ব্যাংকই এই ছয় মাসে ভালো মুনাফা করেছে। তবে এই মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়।
ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বরাবরের মতো এবছরও সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে বেসরকারিখাতের ইসলামী ব্যাংক। গত বছরের জুনে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ১ হাজার ২১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক। ব্যাংকটির মুনাফার পরিমাণ ৫৪০ কোটি টাকা। আগের বছর ছিলো ৪৫৭ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। ব্যাংকটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১০ কোটি টাকা। আগের বছর ছিল ৪১৮ কোটি টাকা।
ধারাবাহিকভাবে মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংকগুলো হলো- সাউথইস্ট ব্যাংক ৫০৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ৪৭৫ কোটি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৪০৫ কোটি, দি সিটি ব্যাংক ৩৭০ কোটি, এনসিসি ব্যাংক ৩৬২ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩৩১ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৩৩০ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ৩২০ কোটি ও প্রিমিয়ার ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এসে ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) সর্বোচ্চসীমা অতিক্রম করায় নতুন করে ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। আবার আমানতের সুদ কমে যাওয়ায় চাহিদামতো আমানত সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে অধিকাংশ ব্যাংকের কাছে ঋণ বিতরণ করার মতো অর্থ নেই।
সুদের হার কমে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাপিঋণ আদায় করতে না পারায় ব্যাংকগুলোতে চলছে তারল্য সংকট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ তিনমাসেই খেলাপিঋণ ১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত হিসাব করলে খেলাপির পরিমাণ আরও বাড়বে। এতে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার সিংহভাগে খেয়ে ফেলবে খেলাপিঋণ।
সোমবার (০১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে লেনদেন বন্ধ ছিল। আর লেনদেন বন্ধ রেখে এই হিসাব-নিকাশ করেছে ব্যাংকগুলো। পরিচালন মুনাফা থেকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ও কর্পোরেট কর বাদ দিলে পাওয়া যাবে প্রকৃত মুনাফার হিসাব।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিধি অনুযায়ী ব্যাংকগুলো পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৯
এসই/জেডএস