ঢাকা: ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে শুধু সুদের টাকা দিয়েই ঋণ নিয়মিত রাখা যাবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ গ্রহীতাদের জন্য এই সুবিধা দিয়েছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, যে সব চলমান ঋণ বা বিনিয়োগের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় নবায়নকৃত হয়নি সেসব ঋণ-বিনিয়োগের বিপরীতে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরোপিত সুদ (অনাদায়ী থাকলে) চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ৬টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
২০২০ সালের অনাদায়ী সুদ উল্লিখিত নিয়মে পরিশোধিত হওয়ার পাশাপাশি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে ওই ঋণ/বিনিয়োগসমূহ ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
তলবি প্রকৃতির ঋণ-বিনিয়োগসমূহ ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি পরিশোধিত হলে ঋণ/বিনিয়োগসমূহ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
এছাড়া বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রদত্ত ঋণ/বিনিয়োগসমূহের ক্ষেত্রে এ সার্কুলারের নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। ওই ঋণ/বিনিয়োগসমূহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এসই/এমজেএফ