যশোর: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধ চলাকালে যশোরে বাসে অগ্নিসংযোগ, হেলপার মুরাদ মোল্লাকে পুড়িয়ে হত্যা ও নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরির্শক (ওসি-তদন্ত) শেখ গণি মিয়া আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।
তবে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় একজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
যশোর কোর্ট থানা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, যশোর জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সভাপতি ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সহসভাপতি গোলাম রেজা দুলু, জেলা বিএনপির সদস্য ও তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল ও যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা রিপন চৌধুরী।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা অধ্যাপক আব্দুর রশিদের নির্দেশে মার্কাস মসজিদের সামনে পার্কিং করা তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বাসে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হেলপার মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের তোরাব মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা দগ্ধ হন। ১০ জানুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরাদ মারা যায়।
ওই ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানার এসআই শহিনুর রহমান বাদী হয়ে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এসআর