ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

দলীয় প্রতীক পেতে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা বাদলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
দলীয় প্রতীক পেতে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা বাদলের

ঢাকা: সদ্যবিভক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল নিজেদের অংশকে মূল জাসদ দাবি করে বলেছেন, দলীয় প্রতীক (মশাল) ও দলীয় কার্যালয়ের জন্য প্রয়োজনে আইনি লড়াই করা হবে।
 
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মঈনুদ্দিন খান বাদলের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাসদের এ অংশের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আংশিক কমিটি ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাদল।  

জাসদের ঐক্য প্রক্রিয়া বন্ধ হলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এ অংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, ঐক্য প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে।   আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী যদি ঐক্য হয়, তবে আমাদের কমিটি বাতিল হতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি, জাসদের নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে জাসদ আবার ঐক্যবদ্ধ হবে। আমরা কোনো অবস্থাতেই ঐক্য চেতনার বাইরে নই।

ঐক্যের বিষয় কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, আগে পেশিশক্তির অবৈধ কাউন্সিল বাতিল করতে হবে, তবে ঐক্যের ব্যাপারে আলোচনার রাস্তা বের হতে পারে। শুধু ঐক্য ঐক্য করে মুখে ফেনা তুললে তো হবে না।  

কমিটি ঘোষণা করে লিখিত বক্তব্যে জাসদের পাল্টা কমিটির পক্ষে যুক্তি ও  প্রেক্ষাপট পুনরায় তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান।

তিনি বলেন, ঐক্যের রাস্তা হাসানুল হক ইনুর কথাতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গত ২১ মার্চ তিনি টেলিফোনে শরিফ নূরুল আম্বিয়াকে জানান যে, তাদের ( ইনু-শিরিন) অংশের নির্বাচনী কাউন্সিল তারা বাতিল করবেন না। এছাড়া ইনু তার সমর্থকদের জমায়েত করে তাদের অংশের জাসদের পৃথক অবস্থানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে কল্পিত রাজনৈতিক পার্থক্যের কথা তুলে ধরেছেন। যেটা তিনি তুলে ধরেছেন, সেটা আমাদের মাঝেও বিদ্যমান। তবে আমাদের সংগঠনে গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার নীতি অনুসরণ করে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
১৪ দলে থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান বলেন, ১৪ দলের শরিক হিসেবে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। ১৪ দলের সমন্বয়কারীকে আমরা সে সিদ্ধান্ত অবহিত করেছি। আমরা রাজনৈতিক কারণেই ১৪ দলের অংশীদার। সে রাজনীতি হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। আমরা ১৪ দলের ভেতরে সমালোচনা-আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে মহাজোট সরকারের সাফল্য নিশ্চিত করতে চাই। নিজ দলের রাজনীতি ও আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কারো প্রতি কপট আনুগত্য দেখিয়ে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমরা জোটকে ব্যবহার করার নীতিতে বিশ্বাসী নই।

শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, আমাদের দলের নিবন্ধন ও প্রতীকের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাবো। আমরা সম্মেলনের প্রতিবেদন জমা দেবো। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোনো খণ্ডিত গ্রুপ থাকতে পারবে না। কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন সংগ্রাম করেছি। সেই সংগ্রামে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ছিলেন। এ বিষয়টিরও আইনিভাবে সমাধান হবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির এ অংশের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কমিটির স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছেন: শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নাজমুল হক প্রধান, মঈনুদ্দিন খান বাদল, লুৎফা তাহের, রেজাউল করিম তানসেন, অ্যাডভোকেট আবু মো. হাশেম, ইন্দু নন্দন দত্ত, মনসুর আহমেদ আগা, মুশতাক হোসেন, মোহাম্মদ খালেদ ও ইঞ্জিনিয়ার সফিউদ্দিন আহমেদ বেলাল।

সহ সভাপতি পদে রয়েছেন রেজাউল করিম তানসেন, ইন্দু নন্দন দত্ত, আবদুল হাই তালুকদার, খোরশেদ আলম খোকা, এটিএম মহব্বত আলী, কলন্দর আলী ও সৈয়দুল আলম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ খালেদ, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, করিম শিকদার, মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু ও মোহাম্মদ মহসীন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ বাদল, ড. বীণা শিকদার, ডা. আবদুর রাজ্জাক, ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী ও এমরান আল আমিন এবং দফতর সম্পাদক পদে রয়েছেন ইউনুছুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।