ঢাকা: পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলার মধ্যে দু’টিতে জামিন নামঞ্জুর করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য মামলাটিতে জামিন পেয়েছেন তিনি।
ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে জামিনের আবেদন জানান মির্জা ফখরুল। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে দুই মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবীর আদালত।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ জানান, পল্টন থানার নাশকতার ৪/১-২০১৫ নম্বর মামলায় জামিন দিলেও ৫/১-২০১৫ ও ৭/১-২০১৫ নম্বর মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মির্জা ফখরুলকে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিন মাসের জামিন দেন।
তবে ফখরুলের আইনজীবীদের দাবি, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিন মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল গত ০৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি চলাকালে সিলেটে বিচার বিভাগ নিয়ে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেছেন বলে নজরে এলে তার কাছে ব্যাখ্যা চান পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ফখরুলের ব্যাখ্যাসহ জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
এমআই/এএসআর