ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘৭.০৫ দেশজ প্রবৃদ্ধির ধারণা অবাস্তব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
‘৭.০৫ দেশজ প্রবৃদ্ধির ধারণা অবাস্তব’ ছবি: দীপু মালাকার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) -এর দেওয়া ৭.০৫ দেশজ প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) ধারণাকে অবাস্তব বলে মনে করছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।



জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে বিএনপির ভাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে জিডিপি হবে ৭.০৫ শতাংশ। অথচ বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী জিডিপি হবে ৬. ৫ শতাংশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী জিডিপি হবে ৬.৭ শতাংশ।
বিবিএসের উপর চাপ সৃষ্টি করে জিডিপি সম্পর্কে সরকার একটা অবাস্তব ধারণা উপস্থাপন করিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বলা হচ্ছে দেশের ইতিহাসে এবারই পথমবারের মত জিডিপি ৭.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। আসলে তাদের এ দাবি সঠিক নয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে জিডিপি ছিল ৬.৭ শতাংশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে জিডিপি হয়েছিল ৭.০৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, ওই সময় গবাদি পশু, হাস-মুরগি, পোনা মাছ, চাষকৃত মাছ, মিনারেল ওয়াটার, ইন্টারনেট কেবলসেবাসহ অনেকগুলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জিডিপির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এগুলো পরবর্তীতে যোগ করা হয়। ওগুলো জিডিপির হিসাবে যুক্ত করা হলে ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছরে জিডিপি ৭.০৬ শতাংশের উপরে হত।

প্রবৃদ্ধির হার বাড়ার সঙ্গে বিনিয়োগ বৃদ্ধির হারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফকরুল বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়লে শিল্পের কাঁচামাল, শিল্প স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তিখাতে ঋণের চাহিদা বেড়ে যায়। গত অর্থ বছরে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে একই সময়ে শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানি অধিকতর মন্থর হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জিডিপি হার বৃদ্ধি পাওয়া অবাস্তব।

সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করায় জিডিপি প্রাক্কলনে প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি এককালীন বৃদ্ধি। প্রতিবছর এভাবে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পাবে না।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয়টিকে পরিসংখ্যানগত চমক হিসাবে আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী মাথা পিছু আয় ১৩১৬ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৬৬ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মাথা পিছু আয় বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রকৃত কল্যাণের সূচক নয়। এর জন্য জানা প্রয়োজন আয়ের বৈষম্য’র সূচক।


জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, পরিসংখ্যানের চমকে বিভ্রান্ত হবেন না। জীবন মানের পরিপ্রেক্ষিতে আপনারাই জানেন আপনারা কেমন আছেন।


সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
এজেড/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।