ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার বিস্ফোরক মামলায় কারাবন্দি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র (বরখাস্ত) আরিফুল হক চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ। আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
পরে ড. মো. বশিরউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, জামিনের জন্য আরিফুল হক আবেদন করেছেন। আজ আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এখন আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পযর্ন্ত তিনি জামিনে থাকবেন। হাইকোর্টের এ জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। বর্তমানে মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যেরবাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দিন মধ্যরাতে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলায়ও তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছন।
প্রথমে সিআইডি’র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ওই বছরের ২০ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদালতের নির্দেশে সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ২০ জুন আরও ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগের আসামিদেরও এতে রাখা হয়।
কিন্তু ২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া অভিযোগপত্রের ওপর হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে নারাজি আবেদন করেন।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ আদেশের প্রেক্ষিতে সিআইডি’র এএসপি মেহেরুন নেছা ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে কিবরিয়া হত্যা মামলার সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নতুন আসামিদের নিয়ে এ মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ জন।
এরপর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ১১ জনকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ পরোয়ানা জারির পর একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে মাকে দেখতে একবার তিনি ১৫ দিনের জন্য জামিন পেয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
ইএস/এটি