শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী বন্ধু দল কেন্দ্রীয় কমিটি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার নামে রসিকতা করা হয়েছে। কেননা সার্চ কমিটি যাদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন তারা কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশন হননি। শুধু তাই নয়, সকলে মিলে যার নাম প্রস্তাব করেছিলো তিনিও হননি। তাহলে সার্চ কমিটির নামে কেনো এই রসিকতা?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার মূল প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানকে সহয়োগিতা করার মূল প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তৎকালীন সরকার। এই দুই যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হবে না। এছাড়া জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হতে পারে না। আর যখন জনগণের প্রতিফলন না ঘটে যে সরকার বা প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, সেই সরকার জগণের সরকার হয় না। সেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে না। সেই সরকার জনগণের কাছে কোনো জবাব দিহিতা করে না’।
গণতন্ত্র রাষ্ট্রে জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাব দিহিতা যদি না থাকে সেই সরকার কখনো গণমানুষের সরকার হয় না। অন্যদিকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যে আবেদন করেছিলাম সেটা দুঃখজনক হলেও প্রথমে মারাত্মক একটা হোচট খেলো’।
প্রধান নির্বাচন কমিশনকে উল্লেখ করে নজরুল বলেন, ‘তিনি বলেছেন (নব্য প্রধান নির্বাচন কমিশন) অতীতের সকল কথা তিনি ভুলে যাবেন এবং ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু এটা তো মুখের কথা। তাই উচিত ছিলো প্রধান নির্বাচন কমিশন এমন কাউকে বানানো যার সম্পর্কে কোনো কথা কিংবা আলোচনা করা যাবে না। কিন্তু সেটা হয়নি’।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয়বাদী বন্ধু দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শরীফ মোস্তফা জামানসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এসজে/জিপি/বিএস