পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
নিহত মাসুদুল হক পিন্টু উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের শাবরুল গ্রামের মৃত জাহান মন্ডলের ছেলে। একই ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে মাসুদুল হক পিন্টু শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) মারা যান।
বুধবার সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। পরে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ময়নাতন্তের কাজ সম্পন্ন করা হয়। সবকিছুই আইনি প্রক্রিয়া মেনে করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় আলাদাভাবে তদন্ত করছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার কিছুই নেই। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঘটনার জন্য কেউ দায়ি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলাও করা হবে যোগ করেন ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম।
নিহতের ভাগ্নে সুমন বাংলানিউজেক জানান, মঙ্গলবার রাতে নিহতের মা পিয়ারা বেগম বাদি হয়ে শাজাহানপুর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে মামলা কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল তা জানাতে পারেননি সুমন।
তিনি আরও জানান, দুপুরের মধ্যে নিহতের ময়নাতদন্তের কাজ শেষে হলে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আসর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও যোগ করেন ভাগ্নে সুমন।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে পুকুর নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দায়ের করা একটি মামলায় কৈগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মাসুদুল হক পিন্টুকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর তাকে মারধর করা হয় বলেও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়। এরই একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান বাংলানিউজের কাছে মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
তিনি জানান, মাসুদুল হক পিন্টু শাজাহানপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলার (মামলা নম্বর-১৯) এজাহারভুক্ত আসামি। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি।
গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে রানীরহাট এলাকায় তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তার স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলেও দাবি আনিছুর রহমানের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/ওএইচ/
** বগুড়ায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার মৃত্যুর অভিযোগ