মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘বিচার বিভাগকে আক্রমণ করে আওয়ামী দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শিরেনামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।
রিজভী বলেন, ‘সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সেখানে জাননি। প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পাঠিয়েছেন। গওহর রিজভী কে? আমরা তাকে চিনিও না। তিনি উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছেন এখানে দেনদরবার করার জন্য। ’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে ডেকে পাঠালেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার কথা না, তিনি গেলেন। আরো দু-একজন মন্ত্রীও গেলেন। মনে হচ্ছে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একটা মল্লযুদ্ধ চলছে। যা সাধারণ মানুষকে স্পর্শ করে তা পর্যবেক্ষণে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের জ্বালা ধরেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের দলের প্রতিটি নেতা বিচারপতির সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয়, তারা দুদক এনবিআরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। ’
আওয়ামী লীগকে দুর্যোগ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেই একটা দুর্যোগ। এদের প্রতিহত করতে না পারলে দেশে শান্তি আসবে না। গণবিরোধী শক্তি যখন কোনো রাষ্ট্র দখল করে রাখে সেই দেশে একটির পর একটি দুর্যোগ আসতেই থাকবে। একটি দুর্যোগ মোকাবেলার পরে আরেকটি চলে আসবে। ’
প্রধান বিচারপতিকে জনতার আদালতে বিচার করা হবে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যেরে সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের জনগণ, পুলিশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তারা একটি বিশেষ আদালত করে প্রধান বিচারপতির বিচার করতে পারবে। প্রকৃত জনগণ তো তাদের বহু আগেই তালাক দিয়েছে। জনগণের আদালতে বিচার হবে তাদের যারা বিডিয়ার বিদ্রোহ থেকে শুরু করে অসংখ্য গুম, খুন করে বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করেছে। ’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা মনি শহীদ উল্লার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এএম/জিপি