রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) দুঃস্বপ্ন দেখছে। সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিএনপি যখন কথা বলে, মানবতার পক্ষে দাঁড়ায়, তখন সেখানেও তারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়।
সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দিন দিন আমাদের জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠছে। আমরা এ ব্যাপারে ঐক্য চাই। তাই আসুন রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। কারণ, ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে।
বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটি তামাশার নির্বাচন করতে চায়। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই- আগামী দিনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের মাধ্যমে। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া তামাশার নির্বাচন এদেশে আর করতে দেওয়া হবে না।
ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খুন-গুমের ভয়কে জয় করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ১/১১ সরকারের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা ও তার অনির্বাচিত সরকার বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানিরা যেমন গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, তেমনি শেখ হাসিনাও গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন না।
শেখ হাসিনা না থাকলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভবিষ্যৎ নেই মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে যদি দু’একটা সুবিধাবাদী থেকে থাকে, তার মধ্যে উনি (কাদের) একজন।
ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এজেড/এইচএ/