সোমবার (৯ অক্টোবর) দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি জোটের অবরোধের সময় চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৮ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুপুরে খালেদার বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহাজোট সরকার কোনো সমালোচনা, বিরোধিতা বা প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। সে কারণে তারা দেশে কোনো বিরোধী দল রাখতে চায় না। দেশের ‘ব্যাপক জনপ্রিয় নেত্রী’ খালেদা জিয়াকে প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে বলেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক ‘হয়রানিমূলক মামলা’ দিয়ে বিপর্যস্ত করার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত সরকার।
সরকার চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আদালতকে ব্যবহার করে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্যই ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে দমন করার নীতি জারি রেখেছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বিরোধী দলগুলোকে উৎখাত করতে পারলেই দেশের মানুষ ভয় পেয়ে যাবে বলে বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে। আর সেজন্যই দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে কোণঠাসা করার জন্য জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক খালেদা জিয়াকে বিপর্যস্ত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে সরকার।
খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনা আক্রোশমূলক ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য। এভাবে একের পর এক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রথা-প্রতিষ্ঠানকে সমূলে উৎপাটিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এক আগ্রাসীরুপে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্তম্ভগুলোকে ধ্বংস করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত বিরোধী দলগুলোকে বিনাশ করার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অসংখ্য মামলার মধ্যে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ফখরুল তার বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে এ মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এইচএ/